রবিউল আউয়াল মাসের আমল
তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নিন, রবিউল আউয়াল মাসের আমল সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ রবিউল আউয়াল মাসের আমল
- রবিউল আউয়াল মাসের আমল
- রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত সম্পর্কে
- রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে
- ঈদে মিলাদুন্নবী কখন
- শেষ কথাঃ রবিউল আউয়াল মাসের আমল
রবিউল আউয়াল মাসের আমল
আজকে আমরা রবিউল আউয়াল মাসের আমল সম্পর্কে আলোচনা করব। আলোচনার মাধ্যমে আমরা রবিউল আউয়াল মাসের আমল সম্পর্কে জানতে পারবো। আমরা অনেকেই রবিউল আউয়াল মাস যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস সেটা জানি। চলুন তাহলে জেনে নিন রবিউল আউয়াল মাসের আমল গুলো সম্পর্কে। ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত হচ্ছে রবিউল আউয়াল মাসের প্রথমদিনের রাত্রি। মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন আমাদের সবার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।
আরো পড়ুনঃ ঘরে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার দোয়া
১লা রবিউল আউয়ালঃ রবিউল আউয়াল মাসের প্রথম দিন দিবাগত রাতটি লায়লাতুল বাবি নামে ইসলামের ইতিহাসে পরিচিত। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর গুরুত্বপূর্ণ বেসাতের ১৩ তম বর্ষে হিজরতের ন্যায় ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল। নবী রাসুল এই রাত্রিতে মদিনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন এবং পথের মধ্যে 'সউর' নামক একটা গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। অন্যদিকে শত্রুদের বিস্মিত করার জন্য মহানবীর বিছানায় হযরত আলী (রা:) শুয়ে ছিলেন। সুরা বাকারার ২০৭ নম্বর আয়াত তখন তার সম্পর্কে নাযিল হয়েছিল। সেজন্য রবিউল আউয়াল মাসের প্রথম দশ দিন হচ্ছে রোজা রাখা মুস্তাহাব।
৮ই রবিউল আউয়ালঃ ২০৬ হিজরির ৮ই রবিউল আউয়াল তারিখে হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম হাসান আজহারী (আঃ) এর শাহাদাত বরণ করেছিলেন এবং এই দিন টা হচ্ছে প্রতিটা মুসলমানদের প্রতীক্ষিত ইমাম মাহাদী আলাই সাল্লাম এর প্রথম দিন ইমামতের। ইমাম হাসান আশকারি (আঃ) এর জিয়ারত করা হচ্ছে এই দিনটাতে উত্তম।
৯ই রবিউল আউয়ালঃ ৯ ই রবিউল আউয়াল হচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। সকল মুসলিমদের পোশাক বিতরণ, খাদ্য বিতরণ এবং আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করা হচ্ছে এই দিনের মুস্তাহাব। কেননা, ইমাম মাহদীর আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইমামতের প্রথম দিন হচ্ছে ৯ ই রবিউল আউয়াল।
১০ই রবিউল আউয়ালঃ ইসলামের ইতিহাসে ১০ই রবিউল আউয়াল হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কেননা আমাদের প্রিয় নবী রাসুলের এই দিনে হযরত খাদিজাতুল কুবরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর বিয়ে হয়েছিলেন। সে জন্য বিশেষভাবে মর্যাদাপূর্ণ এই দিনটি।
১২ই রবিউল আউয়ালঃ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হিজরত করে এই দিনে মক্কা থেকে মদিনাতে পৌঁছেছিলেন। সেজন্য এ দিনটি বিশেষ করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রোজা রাখার মতন বিশেষ কিছু আমল এই দিনে রয়েছে। সুরা ফাতেহার পর তিনবার সূরা কাফিরুন পরে এক রাকাত এবং পরের রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস পড়ে মোট দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে।
রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত সম্পর্কে
প্রিয় বন্ধুরা এই পোস্টে আজকে আমরা রবিউল আউয়াল মাসের আমল এবং রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করেছি। যদি আপনার রবিউল আউয়াল মাসের আমল এবং ফজিলত সম্পর্কে কোন কিছু জানার আগ্রহ থাকে তবে আমাদের সঙ্গে পুরো পোস্টটি জুড়ে থাকুন। রবিউল আউয়াল মাস হচ্ছে হিজরী বর্ষের ৩য় এটা আমরা অনেকেই জানি। এই মাসের মর্যাদা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মের জন্য আরও বেশি।
আল্লাহ তায়ালা সূরা আল ইমরান এর ৩১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসার ব্যাপারে বলেছেন, ' হে নবী আপনি বলেন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাসো তাহলে আমাকে অনুসরণ করো, আল্লাহ যাতে তোমাদের কে ভালোবাসে এবং তোমাদেরকে পাপ মার্জনা করে দেন। ক্ষমাশীল দয়ালু হচ্ছেন আল্লাহ তায়ালা।'
আরো পড়ুনঃ আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস প্রতিপাদ্য ২০২২
প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে বাঁচতে হলে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর দেখানো পথ ও জীবনযাপন অনুসরণ করা এবং নবী-রাসূল কে ভালবাসতে হবে। ইমাম বুখারী (রাঃ) তাঁর কিতাবে এ ব্যাপারে লিখেছেন, " নবী রাসুল (সাঃ) এর ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ।"
আমাদের প্রিয় নবী রাসুলের জীবনের প্রত্যেকটা সময় ই আমাদের কাছে এক একটা শিক্ষনীয় বিষয়। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, " এর মধ্যে যারা আল্লাহর সাক্ষাতের আশা পরকালে রাখে আল্লাহকে আধ্যাত্মিক স্মরণ করে তাদের জন্য আল্লাহ এবং রাসূলের মধ্যে আছে সর্বোত্তম আদর্শ।" আমাদের প্রিয় নবীর জন্মদিন মনে করার কারণে এবং তার আদর্শ নিয়ে জীবন গড়ার জন্য প্রত্যেকটা মুসলমান ১২ই রবিউল আউয়াল এবাদত বন্দেগীর সাথে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকে। তাই আমাদের সবার উচিত নবী রাসুলের আগমনের এ মাসকে ঘিরে অনেক অনেক ইবাদত-বন্দেগী করা। আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি দোয়া করো নামাজ পড়ো, দুরুদ পাঠ করা, কোরআন তেলাওয়াত করা, সালাম দেয়া এবং আমাদের প্রিয় নবীর আদর্শ সবার জীবন গড়ে তোলা।
রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে
হিজরী বর্ষের প্রত্যেকটা মাসই গুরুত্বপূর্ণ। তবে রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্বপূর্ণ অনেক। ইতিমধ্যেই উপরে আমরা রবিউল আউয়াল মাসের আমল এবং ফজিলত সম্পর্কে জানিয়েছি। এখন রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করবো। রবিউল আউয়াল মাস হচ্ছে হিজরী বর্ষের তৃতীয় মাস। হিজরী বর্ষের প্রত্যেক মাসে আল্লাহর কাছে প্রিয়। প্রত্যেকটা মাসেই কিছু না কিছু ফজিলত ও আমল এবং গুরুত্ব আছে।
আরো পড়ুনঃ আখেরি চাহার সোম্বার দিনের আমল
তবে রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব টা অনেক বেশি, কেন নেওয়া এই মাসে আমাদের সবার প্রিয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মের মাস। এখন হয়তো বুঝতে পারছেন এই মাসটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক ব্যক্তিকে মুসলিম হিসেবে বেঁচে থাকতেন হলে মহানবী (সাঃ) এর দেখানো পথ অনুসরণ করতে হবে, নবী রাসুল কে ভালবাসতে হবে এবং তার জীবন যাপন অনুসারে আমাদের গড়তে হবে।
ঈদে মিলাদুন্নবী কখন
আমাদের এখনো অনেকেরই অজানা রয়েছে যে, এটা আরবি মাসের রবিউল আউয়াল মাস তৃতীয় মাস চলছে। ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হয়। সে ক্ষেত্রে অনেকেই প্রশ্ন করে ঈদে মিলাদুন্নবী কখন পালন করা হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। আমাদের আজকের পোস্টটি তাদের জন্য। ঈদে মিলাদুন্নবী হচ্ছে আরবি মাসের ১২ই রবিউল আউয়াল, ইংরেজি মাসের ৯ই অক্টোবর রোজ রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। এখন পর্যন্ত অজানা ছিল আশাকরি আমাদের আজকের এই পোস্ট টি পড়ে জানতে পারবেন ঈদে মিলাদুন্নবী কখন।
শেষ কথাঃ রবিউল আউয়াল মাসের আমল
রবিউল আউয়াল মাসের আমল সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি পড়ুন। রবিউল আউয়াল মাসের আমল সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন। রবিউল আউয়াল মাসের আমল সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
আজ আর নয়, রবিউল আউয়াল মাসের আমল সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই রবিউল আউয়াল মাসের আমল সম্পর্কের পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল এ আমাদের পোস্ট টি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।
