মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার
আপনারা কি মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের এই মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার পোস্টটি আপনাদের জন্য। গোলাপজল ও মুলতানি মাটি একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের জেল্লা বাড়ে এবং ত্বকের ট্যান ও দূর হয়। এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আজকে আমরা আলোচনা করব মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার সম্পর্কে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই, মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার
- মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার
- মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ফেসপ্যাক
- ব্রণ দূর করার ক্ষেত্রে মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার
- গোলাপ জলের সাথে মুলতানি মাটি ও মধু
- শেষ কথাঃ মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার
মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার
ত্বকের উজ্জ্বলতা আনে গোলাপজল। মুলতানি মাটির সাথে গোলাপজল ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাভাবিক তেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার অনেক। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য মুলতানি মাটি ও গোলাপজলের ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ কমলা গাছের পরিচর্যা এবং কমলা গাছের যত্ন করার পদ্ধতি সমূহ
তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করব। এক চামচ মুলতানি মাটির সাথে এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে যে প্যাক তৈরি করা হয় তা পরিষ্কার মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ফেসপ্যাক
মুলতানি মাটি আয়রন, জিংক, সিলিকা, ম্যাগনেসিয়াম এবং অক্সাইড এর মত খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ। অতিরিক্ত তেল এটা শুষে নিয়ে ত্বকের ছিদ্রগুলোকে উন্মুক্ত করে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে। এই ফেসপ্যাক টা তৈরি করার জন্য এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে এক টেবিল চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে।
এরপর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে মুছে নিতে হবে। এবার মুখে ও গলায় এই প্যাকটি সমানভাবে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট কিংবা শুকানোর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মুখ শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে হালকা করে ঘুষে ধুয়ে নিতে হবে। এই প্যাকটি সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করতে হবে।
ব্রণ দূর করার ক্ষেত্রে মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার
আমরা অনেকেই কম বেশি ব্রণ বা একনির সমস্যায় ভুগে থাকি। অনেকের ত্বকে গোটার মত অনেক বড় বড় ব্রণ হয়ে থাকে যা অনেক শক্ত এবং ব্যথা যুক্ত হয়। অনেকের ত্বকে আবার ছোট ছোট গুড়ি কিংবা র্যাশ হয়, যা চুলকায় ও লাল হয়। একনি কিংবা যাই হোক না কেন আমাদের ত্বকের জন্য কোনটাই কাম্য না। এই ব্রনের সমস্যা সমাধানের জন্য মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ফেসপ্যাক একটা জাদুকারি উপাদান হতে পারে। আমরা এই মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ফেসপ্যাক বিভিন্ন পদ্ধতিতে তৈরি করতে পারি।
আরো পড়ুনঃ কমলা খাওয়ার সাতটি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
এই ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য প্রয়োজন ২ চামচ মুলতানি মাটি, দুই চামচ গোলাপ জল, কিছু পুদিনা পাতা, একটা শসা, এলোভেরা জেল। এখন এগুলোকে একসাথে ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করা হলে মিশ্রণটিকে একটা ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে রস বের করতে হবে। এবার দুই চামচ মুলতানি মাটির সাথে ছেঁকে নেয়া রসগুলো তিন চার চামচ নিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। মিশ্রিত প্যাকটি ত্বকে বিশ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুইদিন এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করলে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
গোলাপ জলের সাথে মুলতানি মাটি ও মধু
এই প্যাকটা তৈরি করার জন্য এক কাপ মুলতানি মাটির সাথে দুই টেবিল চামচ গোলাপ জল সামান্য পরিমাণ মধু নিতে হবে। এখানে মধুটা খাঁটি নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। কেননা, বাজারজাত করা মধুর ভেতর ভেজালের পরিমাণটা বেশি দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে হাতের কাছে যদি খাঁটি মধু না থাকে তাহলে ভেজালের কাছে না যাওয়াটাই ভালো হবে।
আরো পড়ুনঃ পায়ের গোড়ালি ব্যথার 24 টি কারণ ও প্রতিকার
কেননা ত্বক আমাদের অনেক সেনসিটিভ একটা বিষয়। তাই হাতের কাছে হাতের কাছে খাঁটি মধু থাকলে এই প্রেক্ষিতে আমরা মধু ব্যবহার করব। আর যদি না থাকে তাহলে মুলতানি মাটি আর গোলাপ জল দিয়ে এই প্যাকটা তৈরি করে নিতে হবে।
শেষ কথাঃ মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার
মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ফেসপ্যাক সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
আজ আর নয়, মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের ব্যবহার সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬
