পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা কিভাবে খাবেন
সূচিপত্রঃ পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা কিভাবে খাবেন
- পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা কিভাবে খাবেন
- চুল পড়া কমাতে থানকুনি পাতা
- থানকুনি পাতার উপকারিতা
- থানকুনি পাতা খাওয়ার অপকারিতা
- শেষ কথাঃ পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা কিভাবে খাবেন
পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা কিভাবে খাবেন
আজ থেকে কয়েক বছর আগেও গ্রামের প্রায় সব বাড়িতেই থানকুনি পাতার গাছ থাকতো। পরবর্তীতে শহরতলীর বেশ কিছু বাড়িতেও এই গাছ লাগানো হতো। কারো হাত-পা কেটে গেলে কিংবা পেটের কোন ধরনের সমস্যা হলেই থানকুনি পাতার খোঁজ করতো। কোনো না কোনো ঘর থেকে এই গাছের পাতা পাওয়া যেতই। এছাড়াও প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ও রয়েছে এই পাতার অনেক গুণাগুণ।
অনেক ধরনের ওষুধ ও এই পাতার রস থেকে তৈরি হতো। কিন্তু এই পাতার দেখা এখন আর পাওয়া যায় না বললেই চলে। এমনকি থানকুনি পাতা এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা চেনে কিনা তাও সন্দেহ। কিন্তু শরীরকে বিভিন্ন দিক দিয়ে সুস্থ রাখার জন্য এই পাতার জুড়ি মেলা ভার। তাছাড়া পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা সাহায্য করে থাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা কিভাবে খাবেন?
আরো পড়ুনঃ পেয়ারা পাতার ২৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
অল্প পরিমাণ আম গাছের ছাল এবং একটা আনারসের পাতা ও হলুদের রসের সাথে কিছুটা থানকুনি পাতা ভালোভাবে মিশিয়ে বেটে নিতে হবে। এখন এই মিশ্রণটি নিয়মিত খেলে আপনার পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে এবং পেটের ভেতর যদি কৃমির কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেটাও ভালো হবে। এছাড়াও থানকুনি পাতা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
চুল পড়া কমাতে থানকুনি পাতা
গবেষণায় দেখা যায় যে, থানকুনি পাতা সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার খেলে স্কাল্পের ভেতরের পুষ্টির সকল ধরনের ঘাটতি দূর করে দেয়, যার ফলে চুল পড়া কমে যায়। এছাড়াও চুল পড়ার মাত্রা অন্যভাবে কমাতে চাইলে থানকুনি পাতা থেঁতো করে তার সাথে তুলসী পাতা পরিমাণ মতো এবং আমলা মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করতে হব। এরপর সেটাকে দশ মিনিট চুলে লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। এখন ১০ মিনিট পর ভালোভাবে চুল ধুয়ে নিতে হবে। একইভাবে সপ্তাহে দুইবার এটি চুলে ব্যবহার করে চুলের পরিচর্যা করতে পারবেন।
থানকুনি পাতার উপকারিতা
আমাদের দেশে থানকুনি পাতা অনেক পরিচিত একটা ভেষজ উদ্ভিদ। সকল ধরনের ওষুধি গুনাগুন রয়েছে থানকুনি পাতাতে। বেশ কয়েকটা নাম রয়েছে থানকুনি পাতার। অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন নামে থানকুনি পাতা কে ডাকা হয়ে থাকে। থানকুনি পাতার উপকারিতা অনেক। সকল রোগের ওষুধ হচ্ছে থানকুনি পাতা। পেটের সমস্যা ছাড়াও থানকুনি পাতা বিভিন্ন রোগ নিরাময় ওষুধ। থানকুনি পাতার উপকারিতা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ুনঃ কাঁঠালের ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
- থানকুনি পাতা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- জ্বরের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
- পেটের সমস্যা দূর করে।
- কাশি কমাতে থানকুনি পাতা বেশ উপকারী।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় থানকুনি পাতা দারুন উপকারি।
- আমাশয়ের সমস্যা দূর করে থাকে।
- শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করতে থানকুনি পাতা সাহায্য করে থাকে।
- ক্ষত সারাতে সাহায্য করে থাকে।
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে থানকুনি পাতা সাহায্য করে।
থানকুনি পাতা খাওয়ার অপকারিতা
প্রত্যেকটা জিনিসেরই যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন তার অপকারিতা ও রয়েছে। এতক্ষণ আমরা থানকুনি পাতার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন আমরা কিছু থানকুনি পাতার অপকারিতা সম্পর্কে জানাবো। নিচে কিছু থানকুনি পাতা খাওয়ার অপকারিতা দেয়া হয়েছে।
- বিভিন্ন ধরনের এলার্জি সমস্যা থানকুনি পাতা থেকে হতে পারে।
- থানকুনি পাতা অপারেশনের রোগীদের জন্য না খাওয়ায় একদম ভালো হয়।
- যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের কোনোভাবেই থানকুনি পাতা খাওয়া উচিত নয়। কেননা এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণ থানকুনি পাতা খেলে মাথা ঘোরা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার দেখা দিয়ে থাকে।
- প্রয়োজনের তুলনায় কোন খাবারই খাওয়া ঠিক না। এতে উপকারের চাইতে অপকারি ই বেশি হতে পারে। থানকুনি পাতা ও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থানকুনি পাতা খেলে পেটের ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
শেষ কথাঃ পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা কিভাবে খাবেন
পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা কিভাবে খাবেন সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা কিভাবে খাবেন সে সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
আজ আর নয়, পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা কিভাবে খাবেন সে সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা কিভাবে খাবেন সে সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬
