কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো?
বর্তমান সময়ে টিকটক অ্যালগরিদম একটু পরিবর্তন হয়েছে। আর টিকটক তাদের অ্যালগোরিদমের কি কি পরিবর্তন এনেছে, এবং এই অ্যালবামে কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাই আজকে জানতে পারবেন কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো তার উপায় গুলো।
টিকটক একাউন্ট খোলা একেবারেই সহজ। দেখা যায় ভিডিও করা কিন্তু কঠিন। আবার ভিডিও ভাইরাল করতে অনেক কষ্ট হয়। সব মিলিয়ে কিছুদিন টিকটক করার পর ছোটখাটো টিকটকার রা টিকটক করা ছেড়ে দেয়।
সূচিপত্রঃ কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো?
কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো?
টিকটকাররা টিকটক করে এক পর্যায়ে ছেড়ে দেয়। এটা খুবই হতাশাজনক। কিন্তু ধৈর্য লাগবেই। এবং সেইসাথে আজকের আর্টিকেলটি পড়ে নিবেন। আজকের ভিডিওতে থাকছে কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো তার উপায় গুলো। এবং কিছু দরকারী টিপস এন্ড ট্রিকস। যেগুলোতে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে।
শুরুতেই বলে নেই যে, আপনি যদি ব্লগ টি পড়েন এবং যেরকম বলব সে রকম করেন, তবে এর মানে এই না যে ভিডিও এখনই ভাইরাল হবে। ভিডিওগুলো ভাইরাল হতে কিছু সময় লাগবে। যারা বলে সাথে সাথে ভিডিও ভাইরাল হয়, আমি আপনাকে বলব তারা আপনাকে সঠিক তথ্য দেয়নি। আপনি একটু ধর্য্য ধরুন, আশা করি সব কিছুই জানতে পারবেন।
কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করব তার উপায় (টাইমিং)
আপনি যদি টিকটক ভিডিও ভাইরাল করতে চান, তবে সবার আগে প্রয়োজন একটি প্রফেশনাল টিকটক একাউন্ট। তাই আমি আগেই প্রফেশনাল টিকটক আইডি খোলার নিয়ম সম্পর্কে বলেছি।
প্রফেশনাল ভাবে টিকটক আইডি খুলুন
সেখানে আমি বলেছি যে, টিকটক আইডি প্রফেশনাল হলে কি কি সুবিধা এবং ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু। তাই আগে সেই আর্টিকেলটি পড়ে নিন। তবে আজকে আপনাদের পার্টে পার্টে বুঝাবো কি কারনে ভিডিও ভাইরাল হয় এবং কি কারণে ভিডিও ভাইরাল হয় না এবং টিকটক আইডি ফিউজ হয় কেন।
- টাইমিং
- শেয়ারিং
- লাইক
- ভিডিও আপলোড
টাইমিং বলতে আপনার কাজকে সময়ের মধ্যে ভাগ করে নিবেন। আমি একটু বুঝিয়ে বলি, আপনি সারাদিনে ভিডিও আপলোড করবেন তিনটা। এখন আপনাকে এটা বুঝতে হবে যে কখন টিকটকের বেশি ভিউ হয়। বা কখন মানুষ টিকটকে বেশি সময় দেয়। আপনার আইডিতে যদি আগের কোনো ভিডিও আপলোড করে থাকেন তবে, সেই ভিডিওটি একটু দেখুন কখন বেশি ভিউ হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনার ভিডিও বিকাল চারটায় বেশি ভিউ হয়। এখন আপনি যদি ভিডিও আপলোড করেন তবে বিকাল চারটার মধ্যে আপলোড করবেন। এতে করে আপনার ভিডিওতে বেশি ভিউ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এবং দেখা যাবে যে সেই ভিডিওগুলো থেকে আস্তে আস্তে লাইক পাবার সম্ভাবনা আছে। এখন আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে যে। আমি নতুন আইডি খুলেছি তাহলে আমি কি করে জানব কখন বেশি ভিউ হয়।
আপনার কথার অবশ্যই যুক্তি আছে। তাই আপনার জন্য সাজেশন থাকবে যে, আপনি রিসার্চ করার জন্য প্রথমে দুই একটা ভিডিও আপলোড করবেন। তারপর দেখবেন কখন বেশি ভিউ হচ্ছে এবং কখন কম হচ্ছে। আর এই পদ্ধতি টিকটক ভিডিও ভাইরাল করার উপায় বলতে পারেন। তবে একদিনে ভিডিও ভাইরাল হবে না। এভাবে এক দেড় মাস ভিডিও আপলোড করে যান তবে বুঝতে পারবেন।
কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো তার উপায়(ভিডিও আপলোড)
বর্তমানের নতুন টিকটক ইউজার দের একটা সমস্যা আছে যে, তারা ভিডিও আপলোডিং এর ব্যাপারটা বুঝতে পারেনা। যার কারণে রেগুলার ভিডিও আপলোড করতেও পারে না। ভিডিও আপলোড এর ব্যাপারটা একটু বলি আপনাদের। ধরুন আপনি রেগুলার ভিডিও আপলোড করেন, কিন্তু আপনি কোন নিয়ম ফলো করেন না।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব ভিডিও এসইও নিয়ে বিস্তারিত
ভিডিও আপলোডের একটা নিয়ম করে নিবেন। নিয়মটা হল আজকে আপনি দুইটা ভিডিও টিক টক এ আপলোড করেছেন। বা দুইটা ভিডিও আজকে বানালেন এবং আপলোড করলেন। দেখা যায়, আগামীকাল আর ভিডিও তৈরি করতে পারলেন না। তাহলে তো সমস্যা হবেই, এরকম করলে তো হবে না। এই রকম হলে আপনার প্রোফাইলে মাইনাস হবে। তাই একটা নিয়ম করে নিবেন, যে এই সময়ের মধ্যে আপনি প্রতিদিন একটি বা দুটি করে ভিডিও আপলোড করবেন। ধরুন, আপনি প্রত্যেকদিন ভিডিও তৈরি করতে পারেন না বা ভিডিও করার সময় হয়ে উঠে না, তখন আপনি একদিনে যতগুলো ভিডিও বানাবেন তার সবগুলো আপলোড করবেন না।
যদি একসাথে সবগুলো আপলোড করেন, তাহলে আগামীকাল আর কোনো ভিডিও আপলোড করার জন্য থাকবে না। তাই প্রতিদিনই যত ভিডিও তৈরি করেন না কেন, এভারেজ করে ভিডিও আপলোড করবেন। যেমন, প্রতিদিন দুইটা করে। তাহলে আপনি টিকটকের ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। এবং রেগুলার হলে আপনার আইডি ফিউজ হবার সম্ভাবনা থাকবে না।
কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো তার উপায়(লাইক এবং শেয়ারিং)
লাইক এবং শেয়ার ইট এর ব্যাপারটা একবারেই বুঝাবো। একটা ভিডিও আপলোডের পর অনেকেই শেয়ার করে। অবশ্যই শেয়ার করবেন। তবে আপনারা একটু ছোট ভুল করেন। যার ফলে আইডি ফিউজ হয়ে যায়। ধরুন আপনি ভিডিও আপলোড করছেন, এবং আমি দেখেছি যে অনেকেই অন্যের মোবাইলে গিয়ে তাদের আইডি থেকে নিজের ভিডিওটা শেয়ার করে। এরকম কাজ একদমই করবেন না।
মানে আপনার ভিডিও অন্যের আইডি বা মোবাইল থেকে শেয়ার করেন, এটাতে কিন্তু আপনারই বেশি ক্ষতি হয়। আপনি আপনার আইডি থেকে একটি শেয়ার দিবেন। দেখা যায় যে, অনেকে আবার ফেক আইডি থেকেও শেয়ার দেয়। তাহলে আপনাকে বলি, আপনি যদি এরকম করেন তবে আমি নিশ্চিত আপনার আইডি ফিউজ হয়ে যাবে। কিভাবে এই প্রক্রিয়াটি হয় আপনাদের কে একটু বুঝিয়ে বলি।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক ইউটিউব এর গোপন 5 ফিচার কেউ জানেনা?
যখন আপনি ভিডিওটি অন্যান্য মোবাইল থেকে আপনি নিজেই শেয়ার দেন, তখন আপনার ভিডিওর শেয়ার টি যোগ হবে। কিন্তু আপনি আজকে শেয়ার দিলেন তিনটা (উদাহরণস্বরূপ) কিন্তু আপনার আইডিতে প্লাস পয়েন্ট পাবার জন্য আগামী কাল চারটা প্লাস করতে হবে। মানে আগামীকাল আপনাকে যেকোন চারটা মোবাইল থেকে ভিডিও শেয়ার দিতে হবে। এভাবেই চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আপনি তো আর রেগুলার কারো মোবাইল পাবেন না। ফলে আপনার ভিডিওতে প্লাস করতে না পারলে মাইনাস হবে। আর মাইনাস হলেই আইডি ফিউজ হয়ে যাবে। আশা করি লাইক এবং শেয়ারিং ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন। ভুলেও কখনোএমনটি করবেন না।
শেষ কথাঃ কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো?
আপনি যদি কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পুরো পোস্টটি পড়ুন। কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো তার সমস্ত কিছু জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেলে। আপনি পুরো আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়লে আশা করছি কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো সে সম্পর্কে সাধারণ ভাষায় সবকিছু বুঝে নিতে পারবেন।
আজ আর নয়, কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো এই বিষয়ে আপনার যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করছি আমরা সেখানে আপনার উত্তর দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই কিভাবে টিকটক ভিডিও ভাইরাল করবো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনাদের ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল এ আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।