সঠিকভাবে আপনার কম্পিউটার বন্ধ না করলে কী হবে?
সারাদিনের কাজ শেষে আপনার কম্পিউটার টি বন্ধ করেছেন তো?আপনি হয়তো ভাবতে পারেন এটা আবার কেমন প্রশ্ন,অবশ্যই বন্ধ করেছি।যদি করে থাকেন তাহলে কিভাবে করেছেন?কোথায় গিয়ে করেছেন?এসব প্রশ্ন শুনে হয়তো ভাবতে পারেন আমার মাথায় গন্ডগোল আছে।নাহলে কম্পিউটার কিভাবে বন্ধ করেছি সেটা জানতে চায়।
কম্পিউটার বন্ধ করা এটা কেমন কি কঠিন বিষয়।উইন্ডোজ বাটনে ক্লিক করে পাওয়ার বাটন অপশনে গিয়ে শাট ডাউন করলেই তো হয় অথবা পাওয়ার বাটন চেপে ধরে সুইচড অফ করে দিলেই তো বন্ধ করার ঝামেলা শেষ ।কিন্তু এটি সঠিক নিয়ম নয়।তাই আজকে আলোচনা করবো সঠিকভাবে আপনার কম্পিউটার বন্ধ না করলে কী হবে?তো চলুন দেখি আসি।
আরো পড়ুনঃহোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ রিকল করার গাইড সমূহ জেনে নিন
পেইজ কনটেন্ট সূচিপত্রঃ
- কম্পিউটার কি প্রতিদিন ব্যবহারের পর বন্ধ করা উচিত?
- কম্পিউটার সঠিকভাবে বন্ধ না করলে কি হতে পারে?
- সঠিক পন্থা অবলম্বন করলে তখন কী হয়?
- কেন আপনাকে কম্পিউটার বন্ধ না করার বার্তা পাঠায়?
কম্পিউটার কি প্রতিদিন ব্যবহারের পর বন্ধ করা উচিত?
আপনি আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করার পর প্রতিদিন কি ওপেন রাখবেন নাকি বন্ধ করে রাখবেন।আপনার মনের মধ্যে এমন প্রশ্ন আসতে পারে যে বার বার কম্পিউটার বন্ধ করার ফলে হয়তো আমার কম্পিউটারে সমস্যা হতে পারে।তবে আপনি যদি আপনার কম্পিউটার সঠিক ভাবে বন্ধ করে দিতে পারেন তবে এটা আপনার কম্পিউটারের জন্য অনেক ভালো।কারণ মানুষের যেমন কাজ করার পর আরামের প্রয়োজন আছে তেমনি কম্পিউটারের ও আরামের প্রয়োজন ।এজন্য আপনার কম্পিউটার ব্যবহারের পর সঠিক ভাবে বন্ধ করে রাখা প্রয়োজন।
অর্থাৎ আপনার কম্পিউটারে যদি কোনো অ্যাপ্লিকেশন চালু থাকে এবং আপনি সেটি শেষ না করেই কম্পিউটার বন্ধ করেন, তখন সেই প্রক্রিয়াধীন ডাটা গুলো নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি হয়তো বলতে পারেন আপনার কম্পিউটারে অটোসেইভ ফিচার টি সহ কিছু সফটওয়্যার রয়েছে কিন্তু এটি এই সময় ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। তাই যদি আপনি সেগুলোর উপর নির্ভর করে সরাসরি কম্পিউটার বন্ধ করে দেন, আপনার ডেটা গুলো হারানোর কিন্তু যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
যখনই আপনি শাট ডাউন বাটনে ক্লিক করেন তখন আনসেইভ অ্যাপ্লিকেশন গুলো প্রথমে ডেটা গুলো সেভ করার জন্য অনুরোধ করে। শুধু তাই নয় Operating System এ চলমান সকল সফটওয়্যার কে বার্তা পাঠায় যে এখন কাজ বন্ধ করার সময় হয়েছে।
কখনো কখনো সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন গুলো চলমান কাজের মাঝামাঝি থাকে। এক্ষেত্রে তখন সেগুলো হয়তো রিড অপারেশন বা রাইট অপারেশন পরিচালনা করছে অথবা মডিফাই বা ডিলেট করার কাজ করছে। তখনই যদি আপনি আপনার কম্পিউটার সুইচড অফ করেন তবে আপনার ডাটা গুলো হারিয়ে যাবে।
সঠিক পন্থা অবলম্বন করলে তখন কী হয়?
নতুন প্রজম্মের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে NTFS ( New technology File System) ব্যবহার করা হয়।
আবার আপনি যখন আপনার অপারেটিং সিস্টেম আপডেট দেন তখন সবসময় এটি আপনাকে কম্পিউটার বন্ধ না করার জন্য অনুরোধ জানায়, কারণ এই কাজের জন্য একটু বেশি সময় লাগবে।সুতরাং আপনার সবচেয়ে ভালো হবে আপনার ডেস্কটপ টি যেন একটি UPS সংযুক্ত হয়। আর যদি আপনার ল্যাপটপ হয় তাহলে সেটি যেন ব্যাটারি ফুল থাকে। তারপর আপনি কম্পিউটার আপডেট করতে পারেন।
কেন আপনাকে কম্পিউটার বন্ধ না করার বার্তা পাঠায়?
অপারেটিং সিস্টেম আপডেট দেয়ার সময় আপনি যদি পিসি বন্ধ করে দেন তবে পরবর্তীতে আপনার অপারেটিং সিস্টেম বুট করতে সক্ষম হবে না। অর্থাৎ আপনার অপারেটিং সিস্টেম হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যখন অপারেটিং সিস্টেম আপডেট দেয়ার সময় তখন আপনি আপনার কম্পিউটার বন্ধ করবেন না।
অপারেটিং সিস্টেম আপডেট দেয়ার সময় এটি অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্রি বা সিস্টেম ফাইল পরিবর্তনের কাজ করে থাকে ফলে আপনি যদি এই সময় আপনার পিসি বন্ধ করে দেন তবে এই অপারেশন গুলো থেমে যায় এবং পরের বার আপনার অপারেটিং সিস্টেম লোড করার সময় কিছু সমস্যা দেখা যেতে পারে।
সর্বশেষ বলব কখনোই আপনার পিসি সরাসরি বন্ধ করবেন না। অপারেটিং সিস্টেম আপডেট দেওয়ার সময় তো অবশ্যই না। কারণ আপনি যদি সঠিকভবে আপনার কম্পিউটার বন্ধ না করেন তবে উপরে উল্লেখিত সমস্যা গুলো আপনার অপারেটিং সিস্টেমে দেখা দিতে পারে।
তাই কম্পিউটার সরাসরি বন্ধ করার সময় আপনার সকল ফাইল সেভ করেছেন কিনা, কিংবা তুলনামূলক বেশি গুরুত্বপূর্ন কাজটির ব্যাক আপ রেখেছেন কিনা সেটি খেয়াল করবেন। পোস্টটি কেমন লাগল জানাতে ভুলবেন না। এই রকম নতুন নতুন বিষয়ে পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।