রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর

আপনারা কি রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের এই রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর পোস্টটি আপনাদের জন্য। রানী এলিজাবেথ এর রাজকীয় সফরকালে বিমানবন্দর থেকে ১৮ মাইল সড়কের বিভিন্ন স্থানে রঙিন ব্যানার ও বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের পতাকা শোভিতো করা হয়েছিল। আজকে আমরা আলোচনা করব রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই, রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর

রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর

আমরা আজকের আর্টিকেলে রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর করার বিষয়ে সম্পর্কে জানব। ব্রিটেনের সদ্যপ্রয়াত রানী এলিজাবেথ বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৮৮৩ সালে। সেই বছর তিনি ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ছিলেন। ওই সময় রানী এলিজাবেথ যেসব বক্তব্য গুলো দিয়েছিলেন তার মধ্যে বাংলা ভাষার ব্যবহারও ছিল। সে সময় দৈনিক ইত্তেফাকের কয়েকটা পত্রিকার প্রতিবেদনে রানীর বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছিল।

আরো পড়ুনঃ ২০০+ সৌদি আরবের মেয়েদের ইসলামিক নামের তালিকা অর্থসহ

নভেম্বরের ১৭ তারিখ ইত্তেফাকে প্রকাশিত, এলিজাবেথ বলেছিলেন আমরা আপনাদের সাথে আছি। প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে চারদিনের সফরের শেষ দিন ঢাকা বাসির পক্ষ থেকে রাণী ও প্রিন্স ফিলিপের সম্মানে তৎকালীন মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। কর্পোরেশনের প্রশাসকের উদ্দেশ্যে ওই অনুষ্ঠানে দেওয়া এক ভাষনে রানী বাংলায় বলেছিলেন, জনাব প্রশাসক অনুগ্রহ করে ঢাকাবাসীকে জানিয়ে দিন যে আমরা তাদের প্রচেষ্টায় তাদের সাথে রয়েছি।

যেমন ছিল রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর

ব্রিটিশের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার অসাধারণ জীবন এবং শাসনামলে বাংলাদেশ দুইবার সফর করেছিলেন। প্রথমবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে ১৯৬১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ রাজকীয় একটা সফরে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। সেই সময় তিনি অবস্থান করেছিলেন ঢাকার সুগন্ধা স্টেট গেস্ট হাউসে। এই সফরে রানী এলিজাবেথ আদমজী জুট মিল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। আবার তিনি ১৯৮৩ সালে দ্বিতীয়বার চার দিনের জন্য বাংলাদেশের সফরে আসেন। রানী এলিজাবেথ ১৯৮৩ সালের ১৪ই নভেম্বর ঢাকায় আসেন। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ তাকে ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানায়।

আরো পড়ুনঃ ২৮০০টি হিন্দু মেয়ে শিশুর নাম ও অর্থ

রানী কে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আঠারো মাইল পথ সারিবদ্ধ ভাবে রানীর রঙিন পোস্টার, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কিংডম বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক লেখা ব্যানার ও ইউনিয়ন জ্যাক পতাকা সাজানো হয়েছিল। এরপর রানী এলিজাবেথ কে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছিল। রাজকীয় সফরের সময় চট্টগ্রামের একটা মডেল গ্রাম ও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বৈরাগী চালায় তিনি যাওয়ার জন্য ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন। চট্টগ্রামে তিনি দেখেছিলেন চাল থেকে মুড়ি তৈরি করা হয়। এছাড়া ও সোনার চাদর, হস্তশিল্প ও মাটির পাত্র সহ বিভিন্ন কারিশিল্প মুগ্ধ করেছিল রানীকে।

রানী এলিজাবেথ এর আধুনিক রাজতন্ত্র এবং চ্যালেঞ্জ৩

রানী এলিজাবেথ ছিলেন রাজতন্ত্রের আধুনিক ভূমিকা দৃঢ় বিশ্বাসী। তার বিশ্বাস প্রকাশ পায় ১৯৭০ সালের রাজ পরিবারের ঘরোয়া জীবন টেলিভিশনে দেখানোর মতো কিছু অঙ্গভঙ্গিতে। যাইহোক রানীর জন্য আধুনিক রাজতন্ত্রের পথ একটা কেকওয়াক ছিল না। রাজ পরিবারকে ১৯৯০ এর দশকে একটা ঝামেলার ঝড়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। রানী ১৯৯২ সালকে রাজ পরিবারের বর্ষবরণ হিসেবে গণ্য করেছিলেন। এই বছর প্রিন্স এন্ড্রু তার স্ত্রী সারার সঙ্গে প্রিন্সেস অফ ওয়েলসের সঙ্গে আলাদা হয়েছিলেন।

আরো পড়ুনঃ ১০০০ টি ন দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

উপরন্তু অ্যা পেয়েছিলেন বিবাহ বিচ্ছেদ। দেশটা মন্দার মুখোমুখি হয়েছিল দুর্দশা যোগ করে। যার ফলে রাজ পরিবারের জীবনধারার প্রতি বিশাল অসন্তোষ দেখা দিয়ে থাকে। রানী এলিজাবেথ ১৯৯২ সালে তার ব্যক্তিগত আয়ের উপরে কর দেয়ার সম্মত হন। পরিবারের জন্য চার্জ এবং ডায়ানার বিবাহ বিচ্ছেদ ও একটা উদ্বেগ জনক বিষয় ছিল। কেননা, ইভেন্টটি সব ধরনের সমর্থনকে হ্রাস করেছিলেন। পরবর্তীতে ডায়ানার মৃত্যুর পরে ১৯৯৭ সালে বিরক্তি আরো গাঢ় হয়ে ওঠে। যখন প্রাথমিকভাবে রানী এলিজাবেথ বাকিংহামের উপর অর্ধেক স্টাফ রেখে জাতীয় পতাকা উড়ানোর অনুমতি দেইনি।

রানী এলিজাবেথের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ

সিংহাসনের রানীর পঞ্চাশ তম বছর ছিল ২০০২ সালে। কমনওয়েলথ এ সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল লন্ডনে বেশ কিছুদিনের উৎসব। যাইহোক এলিজাবেথের মা ও বোনের মৃত্যুতে উদযাপনের স্ফুলিঙ্গ মারা যান। চার্লস ও ডায়নার বড় ছেলে ক্যাথরিন মিডলটনের সঙ্গে ওয়েলসের প্রিন্স উইলিয়ামের বিবাহের সঙ্গে রাজ পরিবারকে ২০১১ সালে উদযাপনের আর একটা কারণ দিয়েছেন। রানী এলিজাবেথের জন্য ২০১২ সাল ছিল হীরক জয়ন্তী বছর। রানীর জন্য বছরটা সিংহাসনের দীর্ঘ ৬০ বছর চিহ্নিত করেছিলেন। রানী এলিজাবেথের প্লাটিনাম জুবিলী হিসেবে ২০২২ সালকে পালিত করা হয়।

শেষ কথাঃ রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর

রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।

আজ আর নয়, রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই রানী এলিজাবেথের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url