কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি
সূচিপত্রঃ কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি
- কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি
- কম্পিউটার কতদিন পর পর পরিষ্কার করা উচিত
- কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক নিয়ম
- কম্পিউটার পরিষ্কার করার যন্ত্রপাতি
- শেষ কথাঃ কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি
কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি
আধুনিক যুগ কম্পিউটারের যুগ। মানুষ এখন যে কোন কাজেই কম্পিউটার ব্যবহার করছে। তাই কম্পিউটার শুধু ব্যবহার করলেই নয় এর সঠিক পরিচর্যা ও করা দরকার। তাই আজকে আমরা কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানব। কিভাবে কম্পিউটার পরিষ্কার করতে হয় এবং কতদিন পর পর করতে হয় সে বিষয়ে ধারণা না থাকলে কম্পিউটার অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। কম্পিউটার নিয়মিত পরিষ্কার না করলে কম্পিউটারের কেইসের অবস্থা অনেক নোংরা হবার সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে কম্পিউটার শিক্ষা
এ ধরনের নোংরার ধুলাবালির কারণে কম্পিউটারের ভেতরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে। এর ফলে ফ্যান সঠিকভাবে কাজ করে না। সেজন্য সকলেরই কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। শুধুমাত্র কম্পিউটারের কেইসই নয়, মাদারবোর্ড, মাউস, কিবোর্ড, হার্ডডিক্স সহ প্রায় সকল যন্ত্রাংশই নিয়মিত পরিষ্কার করার দরকার রয়েছে। তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়লে কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন। চলুন তাহলে কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জেনে আসি।
কম্পিউটার কতদিন পর পর পরিষ্কার করা উচিত
কতদিন পর পর আপনি আপনার কম্পিউটারটা পরিষ্কার করবেন সেটা কয়েকটা ফ্যাক্টরের উপরে নির্ভর করে থাকে। যেমন কম্পিউটারটি আপনি বাসায় ব্যবহার করে থাকেন, নাকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বা অফিসে? কম্পিউটারটি ব্যবহার করছে কত বছর বয়সের মানুষ? একজন ব্যবহার করছে নাকি একের অধিক ব্যবহারকারী আছে? এ সকল বিষয়গুলো বিবেচনা করে নির্ধারণ করতে হবে আপনার কম্পিউটার কতদিন পর পর পরিষ্কার করা উচিত।
সাধারণত যদি আপনি আপনার কম্পিউটারটি বাসায় ব্যবহার করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় মাস পর পর পরিষ্কার করতে পারেন। আবার কোন ফ্যাক্টরি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেখানে ধুলাবালি বেশি পরিমাণে থাকে এবং কম্পিউটার ব্যবহারকারী যদি একাধিক, সে ক্ষেত্রে ২-৩ মাস পর পর আপনি আপনার কম্পিউটারটি পরিষ্কার করলে ভালো পারফরম্যান্স পেতে পারেন।
কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক নিয়ম
আমরা এখন কম্পিউটারে পরিষ্কার করার সঠিক নিয়ম গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। এখানে আপনার কম্পিউটার বা এর যন্ত্রাংশগুলো সঠিক ভাবে পরিষ্কার করার কিছু টিপস উল্লেখ করা হয়েছে।
- কম্পিউটার বা এর যন্ত্রাংশগুলো পরিষ্কার করবার আগে সেটাকে বন্ধ করে নিতে হবে।
- কম্পিউটারের কোন অংশে সরাসরি কোন লিকুইড ঢালবেন না কিংবা সরাসরি কোন কিছু স্প্রে করবেন না। একটা কাপড়ের উপর স্প্রে বা লিকুইড টি প্রয়োগ করে তারপর সেটা কম্পিউটারের নির্দিষ্ট অংশে ব্যবহার করতে হবে।
- পরিষ্কার করার সময় সাবধান থাকতে হবে যেন কোন নব বা কানেকশন না নড়ে যায়। বিশেষ করে কম্পিউটারের পেছনদিকে যখন পরিষ্কার করবেন তখন অবশ্যই কোন ধরনের প্লাগ ছুটে না যায়।
- যখন ফ্যান পরিষ্কার করবেন তখন ফ্যানটিকে ধরে রাখতে হবে অথবা কোন কিছু দিয়ে আটকে রাখতে হবে যেন এটা না ঘুরে। ভ্যাকুয়াম কিংবা কম্প্রেসড এয়ার স্প্রে করার কারণে আপনার ফ্যানটা এর কার্যকারিতা হারাবার সম্ভাবনা থাকে। তাই এটা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- কম্পিউটারের কাছাকাছি কোন খাবার বা পানীয় পান করা যাবে না।
- কম্পিউটারের কাছে বসে ধূমপান করা যাবে না, আবার করলেও কম করার চেষ্টা করতে হবে।
কম্পিউটার পরিষ্কার করার যন্ত্রপাতি
কম্পিউটার পরিষ্কার করার যন্ত্রপাতি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আমি এখন যে জিনিসগুলোর কথা বলব সেগুলো খুব একটা দামি নয়। এগুলোর মধ্যে অনেক কিছু আপনার ঘরেই রয়েছে। শুধুমাত্র কিছু কিছু জিনিস আপনাকে কিনতে হতে পারে। চলুন তাহলে কম্পিউটার পরিষ্কার করার যন্ত্রপাতি গুলো সম্পর্কে জেনে আসি।
কাপড়ঃ কম্পিউটার বা এর এর যে কোন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি মোছার জন্য সবচাইতে উত্তম জিনিস হল সুতি কাপড় বা কটন। উল্লেখ্য কম্পিউটারের কেইস, কিবোর্ড, মাউস, ড্রাইভ ইত্যাদি পরিষ্কার করার জন্য কাপড় ব্যবহার করতে পারেন।
পানি বা রাবিং অ্যালকোহলঃ পানি বা রাবিং দিয়ে সুতি কাপড় ভিজিয়ে ব্যবহার করা সবচাইতে ভালো। কেননা অন্য কোন লিকুইড কম্পিউটারের প্লাস্টিকে দাগ ফেলার সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহীর সেরা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ও আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
পোর্টেবল ভ্যাকুয়ামঃ সিগারেটের ছাই, ধুলাবালি, ময়লা ইত্যাদি পরিষ্কার করবার জন্য ভ্যাকুয়াম ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই ব্যাটারি যুক্ত পোর্টেবল ভ্যাকিউম ব্যবহার করা জরুরি।
কটন বাডঃ যে সকল জায়গা খুব সূক্ষ্ম এবং ছোট সেসব জায়গাতে কটন বাড ব্যবহার করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। কটন বাড টি র্যাবিং অ্যালকোহল বা পানিতে ভিজিয়ে মাউস, কিবোর্ড বা অন্যান্য যন্ত্রপাতির ফাক ফোকর গুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে।
কম্প্রেসড এয়ারঃ এটা অনেক ক্ষেত্রে পোর্টেবল ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশেষ করে এটা মাদারবোর্ড পরিষ্কার করার জন্য অনেক বেশি কার্যকরী।
শেষ কথাঃ কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি
কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
আজ আর নয়, কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬
