থানকুনি পাতার বর্ণনা
সূচিপত্রঃ থানকুনি পাতার বর্ণনা
- থানকুনি পাতার পরিচিতি
- থানকুনি পাতার বর্ণনা
- থানকুনি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম
- থানকুনি পাতার উপকারিতা
- শেষ কথাঃ থানকুনি পাতার বর্ণনা
থানকুনি পাতার পরিচিতি
থানকুনি গাছটি হলো ক্ষুদ্র লতা জাতীয় উদ্ভিদ। থানকুনি পাতার আকৃতি হচ্ছে ক্ষুদ্র গোলাকৃতির। পাতার ধারে ধারে রয়েছে খাঁজ। এই থানকুনি গাছটা বাংলাদেশে প্রায় সর্ব খানেই দেখতে পাওয়া যায়। তবে এটা ভালো জন্মে উপকূলীয় লবণাক্ত আবহাওয়া গুলোতে। এটা গ্রামীণ সাধারণ জনগণের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। থানকুনি লতার ফুল আসে বসন্তকালে এবং ফল পাকে গ্রীষ্ম কালে। অঙ্গজ জনন এবং বীজের মাধ্যমে ও উভয় ভাবেই থানকুনি পাতার বংশবিস্তার হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ পেয়ারা পাতার ২৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রত্যেক টা node কিংবা গিট থেকে শিকড় বাহির হয় এবং শিকড়সহ লতা আর্দ্র জমিতে এনে রোপন করলেই জন্মে থানকুনি। তবে খেয়াল করে রাখতে হবে যে, এটা আর্দ্র মাটি পছন্দ করলেও কিন্তু জলবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। বাংলাদেশের মাটি ডানকুনি জন্মানোর জন্য খুব উপযোগী হলেও নার্সারি গুলোতে এর লতার চারা পাওয়াই অনেক কঠিন। তবে এটা সর্বত্রই পাওয়া যেতে পারে গ্রামাঞ্চলে।
থানকুনি পাতার বর্ণনা
এখন আমরা থানকুনি পাতার বর্ণনা সম্পর্কে জানব। থানকুনি হচ্ছে বাংলা নাম। অঞ্চল ভেদে এটা ধুলা বেগুন, মানা মানি, আদা মনি, থুলকড়ি, ঢোলামানি, থানকুনি, তিতুরা, মানকি, টেয়া, আদা গুনগুনি ইত্যাদি নামে ও পরিচিত। যার ইংরেজি নাম হলো Indian Pennywort এবং বৈজ্ঞানিক নাম হল- Centella asiatica। থানকুনি হলো একটা অনাবাদি ঔষধি গাছ। যা বাড়ির আনাচে কানাচে, রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়ে, মাঠে স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা গুলাতে বর্ষাকালের সময় খুব বেশি পাওয়া যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কমলা খাওয়ার ৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
এছাড়া প্রায় প্রতি বছরই কম বেশি থানকুনি পাতা পাওয়া যায়। থানকুনি গাছ পাওয়া যায় মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, সিংহল, ভারত এবং এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ভেষজ হিসেবে এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। থানকুনি পাতার বহুল ব্যবহার রয়েছে প্রাচীন আফ্রিকীয়, আয়ুর্বেদিক, চৈনিক ইত্যাদি বিভিন্ন দেশের দেশি চিকিৎসা বিদ্যায়। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র মতানুসারে, মানব শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের মহা ঔষধ হচ্ছে থানকুনি পাতা।
থানকুনি পাতার বর্ণনা - বৈজ্ঞানিক নাম
এখন আমরা থানকুনি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। এতক্ষণ আমরা থানকুনি পাতার বর্ণনা ও পরিচিতি সম্পর্কে জেনেছি। এখন থানকুনি পাতার গোত্র ও বৈজ্ঞানিক নাম সম্পর্কে জানব।
- থানকুনি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম হলোঃ Centella Asiatica (Linn) Urban
- থানকুনি পাতার গোত্রঃ Apiaceae
- থানকুনি পাতার ইংরেজি নামঃ Indian Pennywort
থানকুনি পাতার উপকারিতা
আমাদের দেশে থানকুনি পাতা খুব পরিচিত একটা ভেষজ উদ্ভিদ। সকল ধরনের ঔষুধি গুনাগুন রয়েছে থানকুনি পাতার রসে। বেশ কয়েকটা নাম আছে থানকুনি পাতার। অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন নামে থানকুনি পাতা কে ডাকা হয়ে থাকে। থানকুনি পাতার উপকারিতা রয়েছে অনেক। সকল রোগের মহা ঔষুধ হচ্ছে থানকুনি পাতা। পেটের সমস্যা ছাড়াও থানকুনি পাতা বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ের ওষুধ। থানকুনি পাতার বর্ণনা ও উপকারিতা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ুনঃ কাঁঠালের ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
- থানকুনি পাতা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় থানকুনি পাতা দারুন উপকারি।
- জ্বরের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
- আমাশয়ের সমস্যা দূর করে থাকে।
- পেটের সমস্যা দূর করে।
- শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করতে থানকুনি পাতা সাহায্য করে থাকে।
- কাশি কমাতে থানকুনি পাতা বেশ উপকারী।
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে থানকুনি পাতা সাহায্য করে।
- ক্ষত সারাতে সাহায্য করে থাকে।
শেষ কথাঃ থানকুনি পাতার বর্ণনা
থানকুনি পাতার বর্ণনা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। থানকুনি পাতার বর্ণনা সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
আজ আর নয়, থানকুনি পাতার বর্ণনা সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই থানকুনি পাতার বর্ণনা সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬
