পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয়

 আপনারা কি পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয় সে সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের এই পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয় পোস্টটি আপনাদের জন্য। এসিডের মাত্রা পেটে বেড়ে গেলে পেট জ্বালাপোড়া করে থাকে। অতিরিক্ত ঝাল কিংবা মসলাযুক্ত খাবার খেলে পেটে জ্বালাপোড়া করে। তাই আজকে আমরা পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব।

তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই, পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয় সে সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয়

পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয়

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পেটের কোন ধরনের সমস্যা হলে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যায় না। আসলে পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয় সে সম্পর্কে তাই আজকে আমরা আলোচনা করব। পেটে জ্বালাপোড়া বিভিন্ন সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে, খাবার অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাযুক্ত হলে ও পেটে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। কেননা তখন এসিডের মাত্রা বেড়ে ডিউডেনাম নাম এবং উদর অংশে প্রদাহ শুরু হয়। এছাড়াও দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকার কারণে ও পেটে জ্বালাপোড়া বোধ হবার সম্ভাবনা থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দায়ী।

আরো পড়ুনঃ দাঁতের ফিলিং করার পর করণীয়

হেলিকোব্যাক্টর পাইলরি নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে পেটে জ্বালাপোড়া করে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ থেকে গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা ও হবার সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত পেইনকিলার ওষুধ সেবন করার কারণে ও অ্যাকিউট গ্যাস স্ট্রাইটিস ও ক্রনিক গ্যাস স্ট্রাইটিস হবার সম্ভাবনা থাকে। যারা নিয়মিত খায় তাদের পেটের সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও বয়স বাড়লে গ্যাসট্রাইটিস হবার আশঙ্কা থাকে। কেননা তাদের স্টমাক লাইনিং বয়সের সাথে সাথে পাতলা হতে থাকে। অতিরিক্ত মদ্যপানের করার ফলেও অ্যাকিউট গ্যাস্ট্রটাইটিস হবার সম্ভাবনা বাড়ে।

পেটে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায়

আমরা এখন পেটে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। বর্তমান যুগে দিন দিন পেটের সমস্যা বাড়তেই আছে। পেটের জ্বালাপোড়া নিয়ে আজকাল সবাই ভুগছে। তাই আজকে আমরা পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয় ও জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। পেটে জ্বালাপোড়া করা অনেক মারাত্মক। পেটে বিভিন্ন সমস্যার কারণে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের কারণে এই সমস্যা বেশি দেখা দিয়ে থাকে। সেজন্য পানি প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার ১০ উপায়

শুকনো জাতীয় খাবার খেয়ে এড়িয়ে চলতে হবে। তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে পেটের জ্বালাপোড়া কমে যাবে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। পেটের জ্বালাপোড়া কমানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাদ্যনালীর আলসার ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ হয়।

আলসারে যে সকল লক্ষণ দেখা দেয়

আলসার হচ্ছে পেটে জ্বালাপোড়া করার প্রধান সমস্যা। আলসারের এই ব্যথা একটু থেকে শুরু হতে হতে অতিরিক্ত পর্যায়ে যেতে থাকে। পেটের এই ব্যথা কয়েক ঘন্টা পর পর হতেই থাকে। সেজন্য পেটের জ্বালাপোড়া কমানো অনেক জরুরী। এই ব্যথায় আমাদের মধ্যে অনেকেই ভুগে থাকেন। এই ব্যথা গুলো কিছু কিছু লোকের রাতের বেলায় শুরু হয়ে থাকে।

যার জন্য কোনভাবেই ঘুমানো সম্ভব হয় না। আলসার শুরু হলে ওষুধ না খাওয়া পর্যন্ত এই ব্যথা কোনোভাবেই কমানো যায় না। সেক্ষেত্রে এরকম ব্যথা যদি আপনার পেটে হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ধরনের ব্যাথার সাথে বমি বমি ভাব হবার সম্ভাবনা থাকে।

স্টোমাক আলসারে যে সকল লক্ষণ দেখা যায়

আজকের আর্টিকেলে আমরা পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয় সে সম্পর্কে জেনেছি। পেটে জ্বালাপোড়া মূলত বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তার মধ্যে স্টমাক আলসারের কারণে ও পেটে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। এখন স্টমাক আলসারের কারণে যে ধরনের পেটে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে তার কিছু লক্ষণ নিচে দেওয়া হল।

  • পেটের জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হতে থাকবে।
  • হজমের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
  • শরীরে ক্লান্তি ভাব মনে হয়।
  • ক্ষুধা কম হতে থাকে।
  • বুকে জ্বালাপোড়া শুরু হতে থাকবে।

কিভাবে পেটে জ্বালাপোড়া নিয়ন্ত্রণ করবেন

আপনি চাইলে পেটে জ্বালাপোড়া কম করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। পেটে জ্বালাপোড়া করা অনেক মারাত্মক। তাই পেটের জ্বালাপোড়া অবশ্যই কম করার চেষ্টা করতে হবে। পেটের এ ধরনের সমস্যার জন্য গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দিন দিন বাড়তেই থাকবে। যে কোন রোগ কে অবহেলা না করে বরং যত দ্রুত পারা যায় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
সেজন্য পেটে ব্যথা কম করার জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তা না হলে এই রোগ দিন দিন বেড়ে যেতেই থাকতে পারে। পেটে জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য অন্ততপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে পেটের জ্বালাপোড়া কমানোর ওষুধ সেবন জরুরী।

শেষ কথাঃ পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয়

পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয় ও পেটে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয় সে সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।

আজ আর নয়, পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয় সে সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই পেটে জ্বালাপোড়া কেন হয় সে সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url